কিভাবে চন্দনের বিভিন্ন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন আজ সেটাই আমার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব চন্দনকাঠের উপকারিতা নিয়ে।
বাংলাদেশের চন্দন গাছের উৎপাদন বা চন্দন গাছ খুব বেশি এভাইলেবল না হলেও ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় অনেক দেশে চন্দন কাঠ দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু এই গাছ তেমন একটা সহজলভ্য নয়। চন্দন গাছের বৃদ্ধি খুব কম হয় কিন্তু এই চাহিদা এবং এর ব্যবহার এত বেশি যে প্রায় অনেক দাম দিয়ে চাইলেও এ কাঠ কিনতে পাওয়া যায় না।
চন্দন কাঠের উপকারিতাঃ
চন্দন কাঠ সেই প্রাচীনকাল থেকেই প্রসাধনীর একটি গুরুত্বপুর্ণ উপকরন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের শরীর চর্চার সৌন্দর্য প্রকাশের এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অসুখের প্রতিষেধক হিসেবে চন্দন কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রথমে আসা যাক, শরীরের কোন কোন সৌন্দর্যের জন্য আমরা চন্দন কাঠের ব্যবহার করে থাকি………
আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে চন্দন কাঠের উপকারিতাঃ
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি আমাদের ত্বকের উপর সরাসরি পড়লে আমাদের ত্বক লালচে ভাব ধারণ করে এবং সেটা দীর্ঘদিন স্থায়ী থাকার পর কালো হয়ে যায়, যা আমাদের ত্বককে অনেক বেশি রাফ করে তুলে। আমাদের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়।
এ ধরনের সমস্যা তরুণ বয়সে আমাদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটায়। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের দরকার উপযুক্ত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা আর এক্ষেত্রে আমরা চন্দন কাঠের ব্যবহার করতে পারি।
যেভাবে ব্যবহার করতে হবেঃ
গরুর দুধের সাথে চন্দন কাঠের গুঁড়ো একসাথে মিশ্রিত করে আমরা যদি আমাদের ত্বকের উপর লাগিয়ে রেখে অন্ততপক্ষে ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর গোসলের সময় ধুয়ে ফেলি এবং এটা যদি টানা একমাস আমরা করতে পারি, আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না অকল্পনীয়ভাবে আপনার শরীর থেকে সমস্ত রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীর কিন্তু অভাবনীয় সুন্দর হয়ে উঠবে।
চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে চন্দন কাঠের উপকারিতাঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা ঘুমের অনিয়মের কারণে অথবা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। এটি আমাদের অল্পবয়স্ক তরুণ যৌবনের সৌন্দর্যকে অনেকটা ম্লান করে ফেলে।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমরা চন্দন কাঠের গুড়োর সাথে বিভিন্ন উপকরণ যেমন শশার পেস্ট, গাজরের পেস্ট এবং টকদই সাথে অল্প পরিমাণ এলোভেরা জেল মিশ্রিত করে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ১ ঘন্টার জন্য রেখে ধুয়ে ফেললেই আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না আপনার চোখের নিচের কালো দাগ কত সহজে দূর হয়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দুর করতে চন্দন কাঠের গুরুত্বঃ
এছাড়াও ছন্দনের কাঠের গুঁড়ো কিন্তু পেটের হজম শক্তি বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও কাজ করে থাকে। যাদের পেটে গ্যাসের অম্বলের বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তারা কিন্তু রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে চন্দনের গুঁড়ো ভালোমতো মিক্স করে খেয়ে নিতে পারেন। এটি আমাদের উপরের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।
তাহলে বন্ধুরা, আপনারা বুঝতেই পারছেন চন্দনের কাঠ আমাদের শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা আশা করব কষ্ট হলে আপনারা সঠিক এবং খাঁটি চন্দনের গুঁড়ো জোগাড় করার চেষ্টা করবেন যদি এটি আপনারা ব্যবহার করতে চান।