সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব নিম পাতার উপকারিতা নিয়ে। নিম উদ্ভিদ একটি ভেষজ উদ্ভিদ এবং এর কার্যকারিতা এবং গুণগত মান প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত এবং সুপরিচিত।
আজ আমরা সেই নিম পাতার উপকারিতা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলছি।
নিম পাতার উপকারিতাঃ
প্রথমে যে উপকারিতার কথাটি এখন বলব তা হলো…………
নিমপাতা এলার্জি দূর করতে কার্যকরীঃ
নিমপাতা শরীর থেকে বিভিন্ন এলার্জি দূর করতে দারুণভাবে কার্যকরী। গরমের দিনে বিভিন্ন কারণে অথবা অতিরিক্ত গরমের কারণে অথবা অন্য কোন খাবার বা পোশাকের কারণে আমাদের শরীরে এলার্জির উপসর্গ দেখা দেয়।
যেভাবে ব্যবহার করতে হবেঃ
এ ধরনের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত নিস্তার পেতে আমরা কিন্তু নিমপাতা ব্যবহার করতে পারি। নিমপাতা সিদ্ধ করে ঠান্ডা করার পর এর পাতা থেকে রস যদি আমরা গোসলের পানিতে মিশায় এবং সে নিম পাতার রস মেশানো পানি দিয়ে যদি আমরা গোসল করি তাহলে শরীর থেকে যেকোনো ধরনের এলার্জি খুব সহজে চলে যাবে।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার ভূমিকাঃ
নিমপাতা কিন্তু ত্বকের যত্নে আরো বেশি কার্যকরী। যাদের মুখে ব্রনের সমস্যা রয়েছে বা ব্রণের দাগ রয়েছে, তারা কিন্তু নিমপাতা ব্যাবহার করতে পারেন।
যেভাবে ব্যবহার করতে হবেঃ
চালের গুড়ার সাথে নিমপাতার গুড়ো, মধু এবং সামান্য পরিমাণে এলোভেরা জেল মিশ্রিত করে মুখে যদি নিয়ম করে লাগানোর অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তাহলে মুখে ব্রনের দাগ কমে যাবে এবং ভবিষ্যতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। ত্বককে মসৃণ এবং সুন্দর করে ফেলবে।
ডায়াবেটিস রোগের মহা ঔষধ হল নিম পাতার রসঃ
নিম পাতার রস কিন্তু ডায়াবেটিস রোগের একটি মহা ঔষধ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতার রসের সাথে পরিমাণমতো গোলমরিচ মিশিয়ে যদি খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এর পাশাপাশি নিমপাতা কিন্তু হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমাদের রক্ত পরিষ্কার রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন কে ভালো রাখে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের হার্টকে খুব ভালো রাখে।
জীবাণুনাশক হিসেবে নিম পাতার রসের ব্যবহারঃ
আমরা জানি নিমপাতার রস জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তাই যেকোনো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাসের অনুকূল করতে আমরা নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারি।যেমন করোনার মত সময় আমরা কিন্তু নিজেদের এবং ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে নিম পাতার রস কে ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়াও নিম পাতার রস কিন্তু বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ বা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
এন্টিসেপ্ট হিসাবে নিম পাতার ব্যবহারঃ
কোথাও কেটে গেলে বা ছিড়ে গেলে বা কোন এক্সিডেন্ট হলে যদি প্রাথমিকভাবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া যদি সম্ভব না হয়, তাহলে নিমপাতা কিন্তু দারুণ প্রাথমিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কয়েকটি পাতা ভালোমতো করে ধুয়ে ঘসে তা যদি আমরা ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিতে পারি, খুব দ্রুত আমাদের ক্ষত শুকিয়ে যাবে। এবং ক্ষততে যত ধরনের জীবাণু রয়েছে তা কিন্তু মারা যাবে।
তাহলে বন্ধুরা, আপনারা বুঝতেই পারছেন নিমপাতা ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে কতটা কার্যকরী এবং গুরুত্বপূর্ণ।